• ভূমিকা
    2025/10/08

    ভূমিকা

    ‘বাইবেল সার’-এর সমস্ত বিষয় পবিত্র বাইবেলেরই অংশ। যারা বাইবেল পড়েননি বা যীশু খ্রীষ্টের ওপর বিশ্বাসের মূল বিষয়গুলো জানতে চান তাদের কথা মনে রেখেই বাইবেলের প্রধান বিষয়গুলোর সারমর্ম খুব সহজ সরল বাংলা ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। যীশু খ্রীষ্ট আর ঈশ্বরের আসন্ন নতুন রাজ্যের গভীর সত্যই হল পবিত্র বাইবেলের মূল বিষয়। এসব বিষয় বুঝতে হলে আর উপলব্ধি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই শিশুর মতো সরল মন নিয়ে পড়তে হবে। গুপ্তধন খোঁজার মতো করে ঈশ্বরের বাণী যে পড়ে তার জীবনে অবশ্যই সফল হবে ঈশ্বরের এই বাক্য—‘অন্য কারও কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণের তোমার কোনও প্রয়োজন নেই।’ আমাদের একান্ত অনুরোধ, এই ‘বাইবেল সার’ বইটা একবার পড়েই ফেলে রাখবেন না। এটা বারবার পড়ুন। এর ফলে প্রথমবারে যে বাণীগুলো আপনি বুঝতে পারেননি পরবর্তী পাঠের সময় আশা করি তা বুঝতে পারবেন। তারপর অন্তত একটা ‘নতুন নিয়ম’ সংগ্রহ করে পড়ুন। “পবিত্র বাইবেলের প্রত্যেকটা কথা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে, যা শিক্ষা চেতনা-দান, সংশোধন ও সৎ পথে চলার জন্য প্রয়োজন।”

    2 তীম 3:16

    続きを読む 一部表示
    2 分
  • পবিত্র বাইবেলের পরিচয়
    2025/10/08
    পবিত্র বাইবেলের পরিচয়পবিত্র বাইবেলের দু’টো ভাগ—‘পুরাতন নিয়ম’ ও ‘নতুন নিয়ম’। নিয়ম শব্দের অর্থ হল ঘোষণা, চুক্তি, প্রতিজ্ঞা বা দলিল। এই হল, সেই যুক্তি যা মানব জাতিকে উদ্ধারের জন্য স্বর্গের ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। ঈশ্বরের এই চুক্তি বলতে বোঝায় যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মুক্তি লাভ। আর সেই মুক্তি দ্দ্বারা স্বর্গরাজ্যের উত্তরাধিকারী হওয়া। খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করেন যে, প্রায় ২০০০ বছর আগে ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীষ্ট জন্মেছিলেন। তিনি পাপী মানুষের পাওনা শাস্তি নিজের ওপর তুলে নিয়ে ক্রুশে প্রাণ দিয়েছিলেন আর মানব জাতির পাপ চিরদিনের জন্য মুছে দিয়েছেন। অর্থাৎ আমাদের পাপ ক্ষমা হয়ে গেছে আর আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে অনন্ত জীবন পেয়েছি—ঈশ্বরের নিয়মের এই সুসমাচারে আমরা বিশ্বাস করেছি। ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত এই সুসমাচার হলো সম্পূর্ণ পবিত্র বাইবেলের মূল বিষয়। যীশু খ্রীষ্টের জন্মের আগে যে চুক্তি লেখা হয়েছিল সেটা হল ‘পুরাতন নিয়ম’ আর যীশু খ্রীষ্টের স্বর্গে চলে যাবার পরে যে চুক্তি লেখা হয়েছিল তা ‘নতুন নিয়ম’। যিহূদী জাতিকে কেন্দ্র করে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৪০০ বছরের মধ্যে ‘পুরাতন নিয়ম’ লেখা হয়েছিল। বিভিন্ন ভবিষ্যদ্‌বক্তা এটি লিখেছিলেন। পুরাতন নিয়মে ৩৯ টি বই আছে। যিহূদী জাতির ইতিহাস, আইন, ভবিষ্যদ্‌বাণী, কবিতা ও গান নিয়ে এগুলি লেখা হয়েছে। এর মধ্যে যীশু খ্রীষ্ট ও ঈশ্বরের আসন্ন নতুন রাজ্য সম্পর্কে অনেক ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছে। ঈশ্বরের অভিষিক্ত মশীহ অর্থাৎ খ্রীষ্ট সম্পর্কে পুরাতন নিয়মের সেই ভবিষ্যদ্‌বাণীগুলো কীভাবে যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে পূর্ণতা লাভ করেছে তার ব্যাখ্যা এবং যীশু খ্রীষ্টের শিক্ষার বর্ণনা করা হয়েছে, ‘নতুন নিয়ম’-এ। সেগুলো ৩০ থেকে ৯০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে যীশুর শিষ্যরা লিখেছিলেন। যীশুর জীবনী বিষয়ে লেখা ৪টি সুসমাচার ২১ টি চিঠি ও আরও ২ টি বই নিয়ে মোট ২৭ টি বই আছে নতুন নিয়মে। যিহূদিরা কেবল পুরাতন নিয়মকেই নিজেদের ধর্মশাস্ত্র বলে মেনে আসছে। কিন্তু খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা ‘পুরাতন নিয়ম’ ও ‘নতুন নিয়ম’ দুটোকেই ঈশ্বরের বাণী ‘পবিত্র বাইবেল’ বলে মানে। প্রথমেই এটা ভালো করে জেনে রাখো যে, ‘বাইবেলের কোনও ভবিষ্যদ্‌বাণী মানুষের ...
    続きを読む 一部表示
    3 分
  • অধ্যায় ১ শুরুতে
    2025/10/08

    অধ্যায় ১ শুরুতে

    পবিত্র বাইবেল আমাদের বলে, কেমন করে এই বিশ্বে জীবন শুরু হয়েছিল আর কেমন করে ও কেন মানুষের সৃষ্টি হয়েছিল। পবিত্র বাইবেল আমাদের আরও বলে, কেমন করে মানুষ তার সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে আর তাঁকে অবহেলা করেছে। ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপের জন্যই ঈশ্বর মানুষকে মৃত্যুর ভয়ংকর অভিশাপ দিয়েছেন। পবিত্র বাইবেল বলে যে, জন্ম থেকেই আমাদের ওপর মৃত্যুর শাস্তি ঝুলছে আর তা নিয়েই আমরা বেঁচে আছি। আমাদের কোনও আশা নেই। সত্যিকারের কোনও স্থায়ী আনন্দ ও শান্তি নেই। শুধু মৃত্যুই আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে। আমরা ধনী বা গরীব, সবল বা দুর্বল, স্বাধীন বা পরাধীন, অসুস্থ বা সুস্থ যা-ই হই না কেন, কটা দিন পরে আমাদের মরতেই হবে। তারপর? পবিত্র বাইবেল জানায় যে, মৃত্যুর পর বিচারের দিনে সৃষ্টিকর্তার সামনে আমাদের অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। তখন বলতেই হবে কেন আমরা তাঁকে আর তাঁর ধার্মিকতার নিয়মকে অবহেলা করেছি। মানুষ নয় ঈশ্বরই আমাদের বিচার করবেন আর তিনি বিচার করবেন তাঁর নিয়ম অনুযায়ী। আমাদের নিয়ম অনুযায়ী নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনও ধর্ম বা দর্শন বা মানুষ নেই যা আমাদের দেখাতে পারে কেমন করে এই ভয়ংকর অভিশাপ থেকে বাঁচতে পারা যায়। একমাত্র পবিত্র বাইবেলই তা দেখায়।

    続きを読む 一部表示
    15 分
  • অধ্যায় ২ সমস্ত প্রাণীর ধ্বংস
    2025/10/08

    অধ্যায় ২ সমস্ত প্রাণীর ধ্বংস

    মানুষের পাপ আর হিংস্রতা এতো অসহ্য হয়ে উঠল যে ঈশ্বর তা আর সহ্য করতে পারলেন না। তখন ঠিক করলেন নিঃশ্বাস নেয় এমন সব প্রাণীকে তিনি ধ্বংস করবেন। তাই ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর বিচারে জীবিত সকলে মরেছিল। সেইজন্যেই সারা পৃথিবীতে—সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের এবং গভীর গিরিখাতের নীচে চাপা পড়া জীবাশ্ম ও প্রাণীদের অবশেষ আজ আমরা দেখতে পাই। ঈশ্বর ঠিক করেছেন যে, আগামী দিনের বিচারটা হবে আগুন দিয়ে ধ্বংস করে। পবিত্র বাইবেলে 2 পিতর 3:10 লেখা আছে—‘ঈশ্বরের বিচারের দিন চোরের মতো আসবে। ভয়ঙ্কর শব্দে আকাশ ধ্বংস হয়ে যাবে। আগুনে আর তাপে সব জিনিস গলে যাবে। পৃথিবী আর পৃথিবীর সব জিনিস জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।’

    続きを読む 一部表示
    12 分
  • অধ্যায় ৩ নতুন প্রতিজ্ঞা
    2025/10/08

    অধ্যায় ৩ নতুন প্রতিজ্ঞা

    মহাজলপ্লাবনের পর নোহ অনেক বছর বেঁচেছিলেন। ধীরে ধীরে পৃথিবী আবার লোকজনে ভরে গেল। কিন্তু লোকজন যত বাড়তে লাগল, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তারা ততই বিদ্রোহ আর পাপ করতে লাগল। তারা ঈশ্বরের বদলে মূর্তি তৈরী করে পুজো করতে লাগল, নানা ধর্মের প্রবর্তন শুরু করল। কয়েক শ’বছর পর জগৎ আবার পাপে ভরে গিয়ে অন্ধকারে ডুবে গেল। এরপর ঈশ্বর ভবিষ্যদ্‌বক্তাদের মধ্যে দিয়ে বার বার এই সতর্ক বাণী পাঠাতে লাগলেন যে, পাপে ভরা পৃথিবীকে তিনি ধ্বংস করবেন। অনুতাপ করার জন্য মানুষের কাছে ঈশ্বরের বার্তা বয়ে এনেছিলেন এই ভবিষ্যদ্‌বাক্তারা। অথচ তাদেরই অপমান আর অত্যাচার করা হল। এমনকি অনেক ভবিষ্যদ্‌বাক্তাকে খুনও করা হয়েছিল। কিন্তু ঈশ্বর মানুষকে ভালোবাসেন, তাই তিনি যুগে যুগে এই ভবিষ্যদ্‌বাক্তাদের জগতে পাঠাতে থাকলেন।

    続きを読む 一部表示
    17 分
  • অধ্যায় ৪ মশীহ আসছেন
    2025/10/08

    অধ্যায় ৪ মশীহ আসছেন

    ঈশ্বর ভবিষ্যদ্বক্তাদের মুখ দিয়ে আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, একদিন তিনি মন্দ থেকে বিশ্বাসীদের পবিত্র করবেন আর পাপ থেকে তাদের পরিত্রাণে নিয়ে যাবেন। তিনি আরও প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, এমন এক দিন আসছে যেদিন তিনি ধার্মিকতার রাজ্য স্থাপন করবেন। তিনি নিজেই সেই রাজ্য শাসন করবেন। ভবিষ্যদ্বক্তারা আরও বলেছিলেন যে, ঈশ্বর জগতে এক মানুষকে পাঠাবেন। প্রথমে তিনি আসবেন পাপীদের ‘পরিত্রাতা’ হয়ে। পরে ‘রাজা’ ও ‘বিচারক’ হিসাবে তিনি আবার পৃথিবীতে আসবেন। এই মুক্তিদাতা, রাজা ও বিচারককে ভবিষ্যদ্বক্তারা নাম দিয়েছেন ‘মশীহ’। যীশু খ্রীষ্টের জন্মের অনেক দিন আগে থেকেই তাঁর বিষয়ে ভবিষ্যদ্বক্তারা এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।

    続きを読む 一部表示
    23 分
  • অধ্যায় ৫ মুক্তিদাতা যীশু
    2025/10/08

    অধ্যায় ৫ মুক্তিদাতা যীশু

    পবিত্র বাইবেলের সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, সারা বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা মানুষ রূপে এসেছিলেন। একেবারে আমাদের মতোই একজন মানুষ। কারণ তিনি আমাদের ভালোবেসেছিলেন। আমাদের পাপের ভয়াবহ ফল থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন। তিনি নিজেই মহিমাময় রাজা, সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, পবিত্র ঈশ্বর। মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে আর আমাদের পাপের জন্য শাস্তি নিতে তিনি এই ঘৃণ্য পাপ জগতে এসেছিলেন। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সব মানুষের জন্য জগতের পাপ তুলে নিতেই তিনি এসেছিলেন। লোকেরা তাঁর হাতদুটো পেরেক দিয়ে বিদ্ধ করেছিল। তাঁর মুখে থুতু দিয়েছিল আর রক্তাক্ত করেছিল। মানুষের পাপের জন্য তিনি নিজেরই ওপর শাস্তি তুলে নিয়েছিলেন।

    続きを読む 一部表示
    43 分
  • অধ্যায় ৬ অপূর্ব শিক্ষা ও অলৌকিক কাজ
    2025/10/08

    অধ্যায় ৬ অপূর্ব শিক্ষা ও অলৌকিক কাজ

    আজও যীশু খ্রীষ্টের বাণী মানুষের হৃদয়ে আঘাত করে। কারণ তাঁর বাণীতে আছে ধার্মিকতা, নম্রতা ও পবিত্রতা। যীশু খ্রীষ্ট কিন্তু শুধু সুন্দর সুন্দর কথাই বলেননি। তিনি তাঁর শিষ্যদের বলেননি, “আমার শিক্ষা মেনে চলো।” তিনি বলেছেন, “আমার পিছনে পিছনে চলো।” এই ভাবে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদেরও উচিত তাদের জীবনে ধার্মিকতা, প্রেম ও পবিত্রতার এক আদর্শ তুলে ধরা। টাকা-পয়সা আর জগতের জিনিসপত্রের ওপর লোভ করা এবং মানুষের কাছ থেকে সস্মান আর প্রশংসা পাওয়ার আশা করা উচিত নয়। ‘অন্য লোকের জীবনকে ক্ষমতা আর শক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করব’—এমন চিন্তা-ভাবনা করাও ঠিক নয়। আসলে যীশু খ্রীষ্টই তো আমাদের সকলের আদর্শ।

    続きを読む 一部表示
    34 分